সব কিছুরই বিকল্প রয়েছে : ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে সারজিস
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১২-০৪-২০২৫ ০৫:২৬:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-০৪-২০২৫ ০৫:২৬:৩৩ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘কোনো কিছুই কখনো থেমে থাকে না। আমাদেরকে কেউ যদি অনৈতিক বা অযৌক্তিকভাবে কোনো সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে, দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অপশন খুঁজে নেবে। সব কিছুরই বিকল্প রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় পরাশক্তি অনেককেই চেপে ধরার চেষ্টা করেছে, সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। দিনশেষে ওই ছোট ছোট শক্তিগুলো আরো অসংখ্য বিকল্প পথের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী হয়েছে।’
শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ইকো পার্কে ‘মাশরুম ও মুক্তা চাষ’ প্রকল্পের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত দুটি প্রতিবেশী দেশ। কখনো এই দুই দেশের সম্পর্ক এমন হয়ে যাবে না যে, মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। ভারতের কাজ, ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে ডিল করছে, কোন চোখে দেখছে, এই জিনিসগুলো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নির্ধারণ করবে।’
এনসিপি মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘আমরা মনে করি শুধু ভারত নয়, এক্ষেত্রে পৃথিবীর যেকোনো দেশ যদি বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি বা সুযোগ-সুবিধার জায়গায় আমাদেরকে চেপে ধরার চেষ্টা করে, গোটা বিশ্ব আমাদের জন্য খালি রয়েছে। আমরা বিশ্বের অন্য জায়গায়, যেখানে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে, সেই সম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের সুন্দর একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক করতে পারব। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং একটি দেশ হিসেবে ফাংশন করবে এবং দেশ হিসেবে আরেক দেশের সঙ্গে তার বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে চাই, তাহলে যেই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক না কেন, যে ছাত্ররা অভ্যুত্থানে (জুলাই অভ্যুত্থান) নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের প্রতি এতটুকু শ্রদ্ধা সকল রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গের থাকা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, এক্ষেত্রে বিএনপি তাদের জায়গা থেকে আরও বেশি দায়িত্ব পালন করবে। কারণ তারা বড় দল, তাদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি।’
বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর এক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলনে, ‘এটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য, তার দলের বা বিএনপির বক্তব্য নয়। তারা রাজনীতিতে আমাদের সিনিয়র, তাদেরকে দেখে আমরা শিখব, সামনের দিকে এগিয়ে যাব। কিন্তু তারা যদি বয়সের দিক থেকে যারা অনুজ, তাদের সামনে রেখে প্রতিহিংসামূলক বা ছোট করে কথা বলার যে কালচার, সেটা যদি আবার তৈরি হয়, যেটা আমরা দেখতাম শেখ হাসিনা ডক্টর ইউনূসকে নিয়ে, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ছোট করে কথা বলতেন। এটা রাজনৈতিক সৌহার্দ্য নষ্ট করে ফেলেছিল। আমরা একই কালচার তাদের কাছে দেখতে চাই না। আমাদের জন্য তাদের যদি কোনো পরামর্শ থাকে, এই পরামর্শ দেওয়ার একটা সুন্দর সম্পর্কের মধ্য থেকে দেওয়া উচিত। আমরা সেটাই প্রত্যাশা করব।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স